কেন আমরা পাইথন শিখবো?

 

author

মাহমুদুর রহমান উচ্ছ্বাস
৪৯তম ব্যাচ, সি এস ই

 

বর্তমানে প্রোগ্রামিং জগতে  পাইথন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। যদি মনে প্রশ্ন জাগে যে, কেনো পাইথন এতো জনপ্রিয়? তাহলে উত্তর হবে, এর ডেভেলপমেন্টের গতি অনেক বেশি। ডেভেলপমেন্টের গতি আবার কী জিনিস? মানে, একটি প্রোগ্রাম জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে করতে যে পরিমান সময় নেয়, পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে করতে আরো কম সময় লাগে। এর প্রধান কারণ, পাইথনের কোড অনেক সংক্ষিপ্ত হয়।

সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ

নেদারল্যান্ডের বাসিন্দা গুইডো ভেন রু্যম(Guido Van Rossum) ১৯৯১ সালে এটি তৈরি করেন। ইংল্যান্ডের Monty Python নামের একটি কমেডি গ্রুপ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি এই ল্যাংগুয়েজের নামকরণ পাইথন করেন।

4.jpg
Guido Van Rossum

পাইথন একটি ইন্টারপ্রেটেড ল্যাঙ্গুয়েজ (Interpreted language)। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজগুলো সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে। কম্পাইলড ল্যাঙ্গুয়েজ (Compiled language) এবং ইন্টারপ্রেটেড ল্যাঙ্গুয়েজ(Interpreted language)। কম্পাইলড ল্যাঙ্গুয়েজে পুরো সোর্স কোড কম্পাইল করা শেষে তারপর এক্সিকিউট হয়(যেমনঃ সি) এবং ইন্টারপ্রেটেড ল্যাঙ্গুয়েজ একটি একটি করে লাইন এক্সিকিউট হয়(যেমনঃ পাইথন)।

2
পাইথনে লেখা কোড
3
জাভাতে লেখা একই কোড

 

Read More »

পৃথিবীর  ইতিহাসের সর্ববৃহৎ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং  প্রতিযোগিতার শুরু থেকে শেষ ! 

author (1)

Author:  Nazmul Hasan Antor
Batch : 47
Email: nazmul15-9762@diu.edu.bd

পৃথিবীর  ইতিহাসের সর্ববৃহৎ কম্পিউটার প্রোগ্রামিং  প্রতিযোগিতার শুরু থেকে শেষ ! 

ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্ট (আইসিপিসি) একটি বহুজাতিক ও দল ভিত্তিক  প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। আইসিপিসিকে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাগুলির “অলিম্পিক” হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৬ টি মহাদেশের ১১০ টিরও অধিক দেশের প্রায় ৩০০০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিযোগিরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

এটি সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে। আইসিপিসির সদর দপ্তর বেইলর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত এবং এর ছয়টি মহাদেশে এর স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল রয়েছে। বেইলর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম বি. পাউচার এর পরিচালক।  বিগত বছর গুলোতে এ.সি.এম এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করলেও গত বছর থেকে   বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান এর সৌজন্যে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এশিয়াতে ১৮টি সাইটে এই প্রতিযোগিতার আঞ্চলিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয় এবং ঢাকা সাইট তার মধ্যে অন্যতম। ঢাকা সাইটের প্রতি বছরের বিজয়ীরা ওয়ার্ল্ড ফাইনালে অংশগ্রহণ করে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ত্ব করে। অন্যান্য সাইটের মতো ঢাকা সাইটেও  বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইসিপিসির আয়োজন করে থাকে।

IMAGE 2

Read More »

১১ তম টেক অফ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাঃ সামার ২০১৯”

“টেক অফ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাঃ সামার ২০১৯”

কম্পিউটার এবং প্রোগ্রামিং ক্লাব (ডিআইইউ সিপিসি) সিএসই বিভাগ সাথে নিয়ে ২৬ জুলাই ‘টেক অফ প্রোগ্রামিং কনটেস্ট সামার ২০১৯’ এর আয়োজন করে।

ডিআইইউ টেক অফ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাটি প্রথম এবং দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় যাতে তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালযয়ের জীবনের প্রথম থেকেই প্রতিযোগিতামূলক প্রোগ্রামিংয়ের স্বাদ পেতে পারে। প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ও দক্ষ কারিগর তৈরি করতে এবং প্রোগ্রামিংয়ে সঠিক ধারণা দেওয়ার জন্য এবং প্রোগ্রামিংয়ে তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহিত করার জন্য এই প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথি হোসেন আহমেদ (নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সিইও, ব্যাংক এশিয়া), অধ্যাপক ড। সৈয়দ আক্তার হোসেন (বিভাগীয় প্রধান, সিএসই, ডিআইইউ), আবদুস সাত্তার (সহকারী অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, ডিআইইউ), শাহ মোঃ তানভীর সিদ্দিকী (সিনিয়র প্রভাষক, সিএসই বিভাগ, ডিআইইউ), সাইফুল ইসলাম (সিনিয়র প্রভাষক, সিএসই বিভাগ, ডিআইইউ), ফাহাদ ফয়সাল (সহকারী অধ্যাপক, সিএসই বিভাগ, ডিআইইউ), ফাহমিদা আফরিন (প্রভাষক, সিএসই বিভাগ, ডিআইইউ) এবং অন্যান্য অনুষদ সদস্য এবং সিপিসি সদস্যরা প্রতিযোগিতার সময় উপস্থিত ছিলেন। মোট ৩০৫ জন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, যার মধ্যে ১০৩ জন মেয়ে প্রোগ্রামার।Read More »

 কিভাবে প্রোগ্রামিং থেকে আনন্দ নিবো!

11square.jpg

মোঃ হাফিজুর রহমান আরফিন
৪৩ ব্যাচ, সিএসই

 

যদি প্রশ্ন করা হয়, আপনি সবচেয়ে সুন্দর কোথায় বেড়াতে গিয়েছেন? একটু চিন্তা করুন, ভেবে উত্তর দিন।

উত্তর হিসেবে আপনার মাথায় হয়তো আসবে সাজেক, নীলগিরি, বান্দরবন, সিলেট, কক্সবাজার বা সেন্টমার্টিন এর মত জায়গার নাম। যাদের দেশের বাইরে যাবার সুযোগ হয়েছে, তারা হয়তো বলবেন থাইলেন্ডের অথবা প্যারিস ভ্রমন ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর ট্রিপ। যদি এখন প্রশ্ন করি যদি আপনার সেখানে গিয়ে যদি এতই ভালো লেগে থাকে, তাহলে প্রতিদিন কেন সেখানে যান না? এক লাইনে উত্তর হবে “ভাই এত টাকা নাই!” এবং পাশাপাশি আরেকটা উত্তর আসবে “প্রতিদিন এত দূর জার্নি সম্ভব না” কোথাও বেড়াতে যেতে হলে তার জন্য যে টাকাটা লাগবে সেটা আপনাকে আগে উপার্জন করতে হবে।

কোন একটি জিনিস যতই আনন্দের হোক না কেনো সেই আনন্দটা আপনাকে উপার্জন করে নিতে হয়। উপার্জন করে না নিলে সে জিনিসটার পাওয়ার যত ইচ্ছাই থাকুক, জিনিসটা যত আনন্দেরই হোক না কেনো, তা কিন্তু কখনই হাতের নাগালে আসবে না। Read More »

পঞ্চম শিল্প বিপ্লব: প্রযুক্তি এবং প্রকৃতি

 

Mehedi.jpg

মেহেদী হাসান
৫০ ব্যাচ, সিএসই ডিপার্টমেন্ট

বর্তমান বিশ্ব যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে, ঠিক তখনই উঠে আসে আরেকটি শিল্প বিপ্লবের কথা। পঞ্চম শিল্প বিপ্লব।
শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়েই বিভিন্ন সময়ে পৃথিবীর ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে, মানুষ নতুন করে ভাবতে শিখেছে, নিজেদের চিন্তাশক্তির দ্বারা ভবিষ্যতের স্বার্থে এবং বর্তমানের প্রয়োজনে জীবনব্যবস্থাকে বারবার পুননির্মিত করেছে।

আঠারো শতাব্দীতে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানুষ কৃষি যুগ থেকে বের হয়ে আসে। স্থাপিত হয় প্রথম শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি। এরই ধারাবাহিকতায় অনেকটা সময় পর বিংশ শতাব্দীতে এসে আবিষ্কৃত হয় বিদ্যুৎ। শুরু হয় দ্বিতীয় শিল্প বিপ্লবের যুগ। বিদ্যুৎনির্ভর শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে গণউৎপাদন, এসেম্বলী লাইন এবং বিদ্যুৎনির্ভর প্রযুক্তির ব্যপক সম্পর্ক ছিল।
মাইক্রোপ্রসেসর, সেমিকন্ডাক্টর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে গত শতাব্দীর ষাটের দশকে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়। তৃতীয় শিল্প বিপ্লব কর্মক্ষেত্রকে ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সাথে পুরোপুরি সংযোগ স্থাপন করে দিয়েছিল।

Read More »